শিক্ষা ভবনে এমপিও ‘কেনাবেচা’

সাবি্বর নেওয়াজ
নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রোজিনা আক্তার জাহান, নাসরিন আক্তার, ছাতনাই উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগারিক ফজলুল হক, কালীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক নাসিরুল ইসলাম, তিতপাড়া বড়জুম্মা দারুস সালাম দাখিল মাদ্রাসার হাফিজুল ইসলাম এবং ছাতনাই বারোবিশা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুল আজিজের বেতনের সরকারি অংশ (মান্থলি পে-অর্ডার বা এমপিও) সম্প্রতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি স্কুল ও মাদ্রাসার এসব শিক্ষক জালিয়াতির মাধ্যমে এমপিওভুক্ত হয়েছিলেন। এজন্য অবশ্য তাদের সবারই রাজধানীর ‘শিক্ষা ভবন’-এ গিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করতে হয়েছে। এই শিক্ষকদের মধ্যে কারও কারও সংশ্লিষ্ট পদে নিয়োগ পাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। কারও বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন সনদ নেই। কারও নিয়োগ প্রক্রিয়া যথাযথ আইনানুগ উপায়ে হয়নি, তবুও এমপিও পেতে সমস্যা হয়নি তাদের। কারণ শিক্ষা ভবনের কার্য সহকারীরাই (ডিলিং অ্যাসিস্ট্যান্ট) নীলক্ষেত থেকে জাল কাগজপত্র বানিয়ে দিয়েছে। এভাবে শুধু ডিমলা উপজেলাতেই সাতজন শিক্ষক ভুয়া এমপিওভুক্তি পেয়েছেন।
এ তো গেল দেশের দূরবর্তী একটি উপজেলার চিত্র। খোদ রাজধানীর দনিয়া এলাকার একে হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষক অনিমা
রানী সাহা ও শিউলি রানী দাস। তারা নিজ প্রতিষ্ঠানে সরকারি বিধিবিধান অনুসরণ করে নিয়োগ পাননি। অথচ গত মে মাসে তাদের সহকর্মীরা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে পড়েন, যখন দেখতে পান, এ দু’জনের এমপিও চালু হয়ে গেছে। অথচ একই প্রতিষ্ঠানের চারজন শিক্ষক যথানিয়মে নিয়োগ পেয়েও চার বছর ধরে এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না। জানা গেছে, শিক্ষা ভবনে মোস্তফা পাটোয়ারী নামে একজন কর্মচারী নেতার মাধ্যমে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে এ দুই শিক্ষক এমপিও ‘কিনেছেন’। সরকারি বেতন চালু হয়ে গেলেও শিক্ষা ভবনে বেসরকারি স্কুল শাখার নথিতে অবশ্য অনিমা রানী সাহা ও শিউলি রানী দাস এমপিওভুক্ত হননি। এভাবে নথিতে নেই, অথবা নেতিবাচক সিদ্ধান্ত রয়েছে, কিন্তু বাস্তবে এমপিওভুক্ত হয়ে গেছেন এমন শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা কত তার কোন হিসাব কারও কাছে নেই। সম্প্রতি ‘মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর’-এর (মাউশি) শুধু গত মে মাসে ছাড় করা এমপিওভুক্তিতে ২৮৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী অবৈধভাবে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। মাউশির নিজস্ব তদন্তেই এ ঘটনা ধরা পড়েছে। এতে প্রতি মাসে সরকারের সাড়ে তিন কোটি টাকা গচ্চা যাচ্ছে।
এভাবেই রাজধানীর শিক্ষা ভবনে এমপিওভুক্তি নিয়ে বিরাট এক জালিয়াত চক্রের সন্ধান মিলেছে। দাফতরিক নথিপত্রে না হলেও এ চক্রটি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সরাসরি কম্পিউটার সেন্টার থেকে এমপিওভুক্তি দিয়ে দিচ্ছে। এই চক্রের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারও কারও যোগসাজশ রয়েছে। গত ১৯ ও ২০ মে মাত্র দুই দিনে ২৮৭ জনকে ভুয়া এমপিওভুক্ত করেছে এ চক্র। এ ব্যাপারে মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন সমকালকে বলেন, ‘আমরা তো কেবল কয়েকজনকে চিহ্নিত করেছি। সবাইকে চিহ্নিত করা গেছে_ তা নয়। ভালোভাবে ধরলে দেখা যাবে, অনেকেই জড়িত আছে।’
যেভাবে এমপিওভুক্তি হয় :বর্তমানে সারাদেশের এমপিওভুক্ত সাড়ে ২৬ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা) পৌনে ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্ত রয়েছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক চাকরি ছেড়ে গেলে, মৃত্যু বা অবসরজনিত কোনো কারণে পদ শূন্য হলে নতুন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ করে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। বিধি অনুসারে, কমপক্ষে দুটি পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রার্র্থীর সংশ্লিষ্ট পদের জন্য নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা, নারী কোটা পূরণ থাকা, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াসহ বেশকিছু যোগ্যতা থাকতে হয়। এসব যোগ্যতায় ঘাটতি থাকা কিংবা অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরাই মূলত ভুয়া এমপিওভুক্ত হতে শিক্ষা ভবনের এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তা নেন। দেখা গেছে, জেলা শিক্ষা অফিসারের সুপারিশ না থাকলেও শিক্ষা ভবন থেকে এমপিও চালু করার ঘটনা ঘটেছে। সরকারি নিয়ম অনুসারে, তিন মাস পর পর নতুন এমপিওভুক্তি দেওয়া হয়। এতে এই চক্রের সদস্যরা এমপিও সংক্রান্ত কম্পিউটার সেলের (ইএমআইএস) মাধ্যমে সরাসরি ওই সব শিক্ষক-কর্মচারীর নাম এমপিওভুক্তির চূড়ান্ত তালিকায় ঢুকিয়ে দেয়। এ কাজে ইএমআইএস সেলের প্রধান কম্পিউটার অ্যানালিস্ট আবুল ফজল বেলাল সরাসরি জড়িত বলে মাউশির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মাউশি মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন সমকালকে বলেন, ‘ইএমআইএস সেল দুর্নীতির জায়গা। সেখানে কে কোন কাজ করছে তা নির্দিষ্ট করা নেই। আবার গোপনীয় শাখা হলেও এমনকি সেখানে বাইরের লোক এনেও কাজ করানো হচ্ছে, যা আমাকে জানানো হয় না।’
শক্তিশালী এমপিও জালিয়াত চক্র :মাউশির পরিচালক (মনিটরিং) প্রফেসর দিদারুল আলমের নেতৃত্বে গঠিত ভুয়া এমপিও শনাক্তকরণ কমিটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে সম্প্রতি ১০ জন কর্মচারীকে অভিযুক্ত করে তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। এতে মাউশির ৬ জন কর্মচারীসহ ইএমআইএস সেলের কর্মচারীদের মধ্যে মো. মোখলেচুর রহমান, মো. জিয়াউর রহমান, রোমানা রহমান এবং নজিবুদ দৌলাকে দায়ী করা হয়েছে।
অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ এমপিওভুক্তির বিনিময়ে কোটি কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে আসছে শিক্ষা ভবনের কয়েকজন দুর্নীতিবাজ ডিলিং অ্যাসিস্ট্যান্ট। তাদের কেউ কেউ রাজধানীতে বিপুল বিত্ত-বৈভবের অধিকারী। মন্ত্রণালয়ের প্রভাবশালীদের সঙ্গে তাদের ওঠাবসা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাউশির তদন্ত প্রতিবেদনটি ছিল খুবই দায়সারা। প্রতিবেদনে কর্মচারীদের দায়ী করা হলেও কোনো কর্মকর্তাকে এতে দায়ী করা হয়নি। তারা মনে করেন, কেবল কর্মচারীদের দিয়ে এত বড় দুর্নীতি সংঘটন সম্ভব ছিল না। এর পেছনে কর্মকর্তাদের একাংশের প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছিল।
সমকালের অনুসন্ধানে জানা গেছে, সর্বশেষ ছাড় করা গত মে মাসের এমপিওভুক্তিতে ২৮৭ জনের ভুয়া এমপিওভুক্তি ধরা পড়লেও এ ধরনের জালিয়াতির প্রকৃত সংখ্যা ৭শ’র কম নয়। এ ছাড়া তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত ১০ জনের মধ্যে মাউশির কর্মচারী আছে মাত্র চারজন। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এই চারজন ২৮৭টি ভুয়া এমপিওভুক্তির মধ্যে মাত্র ১৬টির সঙ্গে সম্পৃক্ত। বাকি ২৭১টি ভুয়া এমপিওভুক্তির সঙ্গে কারা জড়িত, তদন্ত প্রতিবেদনে তা সুকৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
কেন এ ঘটনা ঘটেছে তার খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির সদস্য মাউশির উপ-পরিচালক (বেসরকারি কলেজ) মেজবাহ উদ্দিন সরকার নিজেই ভুয়া এমপিওভুক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত। আবার তদন্তকালে তার বিরুদ্ধেই কর্মচারীদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ওঠে। এতে অনেক কর্মচারী ছাড় পেয়েছে। কর্মচারীদের একাধিক সূত্র সমকালকে জানায়, সাধারণ এমপিওভুক্তির প্রতিটি নথি থেকে মেজবাহ উদ্দিন সরকার ১০ হাজার টাকা গ্রহণ করে থাকেন।
প্রফেসর ফাহিমা খাতুন এ ব্যাপারে বলেন, ‘শুধু কর্মচারীদের দোষ দিয়ে তো লাভ নেই। কর্মকর্তারাও দায় এড়াতে পারেন না। তাদেরও গাফিলতি আছে। ডিলিং অ্যাসিস্ট্যান্টরা যেভাবে নথি উপস্থাপন করেন, দেখা যায়, কর্মকর্তারাও সেখানেই সই করে পাস করে দেন। আরও এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়াতে গলদ রয়েছে।’
তিনি বলেন, তদন্তে ধরা পড়ার পর কর্মচারীদের অনেকে এখন স্বেচ্ছায় অন্যত্র বদলি হয়ে যেতে আবেদন করছে। কিন্তু বদলি তো কোনো শাস্তি নয়। আইনানুগ শাস্তি তাদের পেতেই হবে।
অন্যদিকে, নিজের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে উপ-পরিচালক (বেসরকারি কলেজ) মেজবাহ উদ্দিন সরকার সমকালকে বলেন, তিনি কোনো নথি পাসের বিনিময়ে ঘুষ নেন না। আর তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাদেরকে প্রতিবেদন জমা দিতে হয়েছে। এতে বিশদ তদন্ত করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, শুধু গত ১৯ ও ২০ মে দুই দিনে হওয়া এমপিওগুলোর তদন্তই মূলত তারা করেছেন।
ভুয়া এমপিওর কুশীলবরা :নিবিড় অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২৮৭টি ভুয়া এমপিওভুক্তির সঙ্গে মাউশির দু’জন কর্মকর্তা, বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার ১০ কর্মচারী, মাদ্রাসা শাখার এক কর্মচারী এবং ইএমআইএস সেলের ৫ কর্মচারী জড়িত। সাবেক সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-৪) আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী বদলি হয়ে যাওয়ার পরও ব্যাক ডেটে এমপিও শিটে সই করে বিপুল অর্থ কামিয়ে নেন। বর্তমানে তিনি সরকারি ভাওয়াল বদরে আলম কলেজে কর্মরত। উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিন চট্টগ্রাম, গাইবান্ধা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার এমপিওভুক্তির দায়িত্বে থেকে অনেক ভুয়া এমপিওভুক্তি করেছেন। তিনি এর আগে একবার দুর্নীতির দায়ে গাজীপুর বদলি হয়েছিলেন। এ ছাড়া জড়িত অন্যরা হলেন_ উচ্চমান সহকারী মো. আমির হোসেন (চাঁদপুর, বরগুনা, নওগাঁ ও নড়াইল জেলার দায়িত্বে), অফিস সহকারী মো. মিজানুর রহমান (বাগেরহাট, ঝালকাঠি. পাবনা ও বগুড়া জেলার দায়িত্বে), অফিস সহকারী মো. শাহেদ আজগর (সিলেট, সিরাজগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও জেলার দায়িত্বে), অফিস সহকারী কাজী কামরুজ্জামান (ভোলা, খুলনা ও মাগুরা জেলার দায়িত্বে), অফিস সহকারী মো. আবদুল মোন্নাফ আকন্দ (দুদকের নথিভুক্ত, দুর্নীতির দায়ে পলাশবাড়ী সরকারি কলেজে বদলি হয়েছেন। দিনাজপুর, ভোলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দায়িত্বে ছিলেন), অফিস সহকারী মো. নূরে আলম (বর্তমানে অডিট শাখায়), অফিস সহকারী বশির হাওলাদার (বর্তমানে অডিট শাখায়), অফিস সহকারী বেলাল হোসেন (রংপুর, লালমনিরহাট, সিরাজগঞ্জ জেলার দায়িত্বে ছিলেন। কয়েক দিন আগে দুর্নীতির দায়ে নরসিংদী বদলি হয়েছেন), অফিস সহকারী আসমা পারভীন (রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া ও বাগেরহাট জেলার দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে পরিকল্পনা শাখার পরিচালকের পিএ) ও মাদ্রাসা শাখার অফিস সহকারী মোস্তফা মাহমুদ। মাদ্রাসা শাখার ১০টি ভুয়া এমপিওভুক্তির সঙ্গে মোস্তফা মাহমুদকে মাউশির তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া ইএমআইএস সেলের সিনিয়র ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো, মোখলেচুর রহমান ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জিয়াউর রহমানও এ অপকর্মে জড়িত। এই দু’জনের মধ্যে মোখলেচুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে ভুয়া এমপিওভুক্তির অভিযোগ এক তদন্তে প্রমাণিত হলেও তিনি অজ্ঞাত কারণে রেহাই পান।
এ ব্যাপারে মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন সমকালকে বলেন, ‘তদন্তে বের হয়ে আসা ও তদন্তের বাইরে থাকা অনেকের বিরুদ্ধে এর আগেও এমপিও নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছিল। নথি ঘাঁটতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, এদের কারও কারও বিরুদ্ধে বহু আগেই সিদ্ধান্ত রয়েছে_ তারা কেউ আর এমপিওভুক্তির কাজে সম্পৃক্ত থাকতে পারবে না। সেসব কাগজপত্র পর্যন্ত এরা গায়েব করে ফেলেছে।’
জড়িতদের তালিকা চেয়ে দুদকের চিঠি :ভুয়া এমপিওভুক্তি প্রদানের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক আবদুছ ছাত্তার সরকার গত ২২ আগস্ট মাউশির মহাপরিচালককে এক চিঠি দেন। এতে ভুয়া এমপিও পাওয়া ২৮৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও শিটের ছায়ালিপিও চাওয়া হয়।
মাউশির মহাপরিচালক এ চিঠির সত্যতা স্বীকার করে সমকালকে বলেন, ‘আজ রোববার এ তালিকা দুদকে পাঠানো হবে। চাইলে দুদক আরও বিশদ তদন্ত করতে পারে।’
শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য :শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সমকালকে বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ অপচয় ও লুটপাটের এ প্রক্রিয়ায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের চরম শাস্তি পেতে হবে। এর কোনো অন্যথা হবে না।