রাজশাহীতে ছাত্রলীগের গোলাগুলি, নিহত ১

lig
রাজশাহী সিটি কলেজে আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জেরে পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে গুলিতে এক কর্মী নিহত হয়েছেন।

নিহত জীবন শেখ (২২) ওই কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিনের পক্ষের কর্মী ছিলেন। তার বাড়ি নগরীর রাজারহাতারে।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে শহরের মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে রবিনের সমর্থকদের সঙ্গে বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান কালুর ছেলে ছাত্রলীগ নেতা তুহিনের সমর্থকদের এ সংঘর্ষ হয় বলে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম জানান।

তিনি বলেন, “কলেজে আধিপত্য নিয়ে রবিন ও তুহিনের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জেরে বৃহস্পতিবার বিকেলে রবিন ফোন করে তুহিনকে কলেজের সামনে ডেকে নিয়ে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।”

সন্ধ্যায় তুহিনের বাবা আতিকুর থানায় গিয়ে রবিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসেন। এ খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ রবিন সমর্থকদের নিয়ে রাত ১০টার দিকে রানীবাজার মোড়ে তুহিনের বাবার কার্যালয় ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।

সেখানে তারা তুহিনের বড় ভাই মহানগর ছাত্রলীগ কর্মী তুষারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। পরে তুষারকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।

ইফতে খায়ের আলম বলেন, “বাবার চেম্বারে হামলার খবরে রাত ১১টার দিকে তুহিন তার সমর্থকদের নিয়ে গিয়ে মালোপাড়া মোড়ে রবিন ও তার সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এ সময় তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলি হয়।”

এসময় জীবনের গায়ে গুলি লাগলে তিনি রাস্তার পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাজশাহী মেডিকেলের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম বলেন, “জীবনের বাঁ চোখের নিচ দিয়ে গুলি ঢুকে কানের পিছন দিয়ে বেরিয়ে গেছে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।”

হাসপাতালে ভর্তি তুষারের হাত, বুক ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থাও ‘গুরুতর’ বলে জানান এই চিকিৎসক।