বিএনপির সামনে কঠিন পথ

লোটন একরাম/রেজা মাহমুদ
কোথায় দাঁড়িয়ে আছে বিএনপি? বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান অনুযায়ী নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় করতে হলে আগামী দু’তিন মাসের মধ্যেই আন্দোলনকে ‘চূড়ান্ত রূপ’ দিতে হবে দলটিকে। ‘অল আউট’ আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের সেই সাংগঠনিক ‘শক্তি’ কি তাদের রয়েছে? আবার দাবি আদায় করতে না পারলে দলীয় অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই আগামী সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সরকারের কঠোর মনোভাবের মধ্যেই সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে দাবি আদায়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা জীবন-মরণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপির। ইতিমধ্যে সরকারকে কয়েক দফা আলটিমেটাম দিয়েও এখন ঈদুল আজহার আগ পর্যন্ত দেশব্যাপী দাবির সপক্ষে ‘জনমত’ তৈরিসহ শিথিল কর্মসূচি দিতে হয়েছে দলটিকে। মামলার জালেও রয়েছেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার দুই ছেলেসহ দলের বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় নেতা। গ্রেফতার বা পুরনো মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে আগামী নির্বাচনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতার অংশগ্রহণ নিয়েও তৈরি হয়েছে শঙ্কা। বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে সরকার নানামুখী ‘ষড়যন্ত্র’ করছে বলেও অভিযোগ করছেন ‘অগি্নপরীক্ষার’ মুখে দাঁড়িয়ে থাকা দলটির শীর্ষ নেতারা। অবশ্য দাবি আদায় করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার ব্যাপারেও দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করছেন তারা। ক্ষমতায় গেলে দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ, প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহারসহ ‘নতুন ধারার সরকার’ উপহার দেওয়ার কথাও বলছে দলটি। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ রোববার। এবারের জন্মদিন উদ্যাপনে দু’দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি। দলের জন্মদিন উপলক্ষে এক বাণীতে দলের নেতাকর্মী-সমর্থক ও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক শূন্যতার প্রেক্ষাপটে জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ‘গায়ের জোরে’ বাতিল করা তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সবাইকে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। পৃথক বাণীতে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও দলের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান।
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। তার প্রতিষ্ঠিত দলটি নানা চড়াই-উতরাই ও ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে সর্বোচ্চ চার বারে ১৭ বছর দেশ শাসন করেছে। বেশ কয়েকবার ভাঙনের কবলেও পড়েছিল দলটি। ২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেনের পটপরিবর্তনে বিপর্যস্ত দলটি ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে ‘নবরূপে’ ঘুরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেও তা সম্ভব হয়নি। দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখনও লন্ডনপ্রবাসী। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর
তার দেশে ফিরে আসার

প্রস্তুতি রয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম
আলমগীর সমকালকে বলেছেন, বিএনপি সাংগঠনিকভাবে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। বিগত সিটি করপোরেশনগুলোর নির্বাচনে বিপুল বিজয় তার প্রমাণ। আগামীতে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন হলে ভালো ফল করবে। এবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সামনে রেখে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের দাবি আদায় করা। তারা আশা করছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ বিএনপিকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে। নির্বাচিত হলে তারা দেশবাসীকে নতুন ধারার সরকার উপহার দেবেন। যেখানে কোনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করবেন না। বিরোধী দলের সহযোগিতা নিয়ে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবেন। দেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নেওয়া, যুবশক্তি ও নারীসমাজকে অর্থনৈতিক উন্নয়নে শামিল করা হবে। সব ধরনের সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদকে দমন করবেন তারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সমকালকে বলেন, এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপি জনপ্রিয় দল হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে দাবি আদায়ের আন্দোলন করে নির্দলীয় সরকারের পক্ষে জনগণের সমর্থন আদায় করেছে। সরকারের সব ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে তিনি স্বীকার করেন, নির্দলীয় সরকারের পক্ষে দাবি আদায় বিএনপির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। বিএনপির প্রধান দায়িত্ব গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা। এ জন্য প্রয়োজন নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দাবি আদায়ে যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণই হবে বিএনপির শপথ। তারা বিশ্বাস করেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ বিএনপিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করবে।
ফুরফুরে মেজাজে নেতাকর্মীরা :পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দল সমর্থিত প্রার্থীদের জয়ের পর শীর্ষ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীরা রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে। ‘জনমত এখন বিএনপির পক্ষে’_ এ মনোভাবের কারণে নেতাকর্মীরা নিজেদের ক্ষমতার ‘কাছাকাছি’ বলে মনে করছেন। সরকার শেষ পর্যন্ত নির্দলীয় ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচন দেবে এবং বিএনপি ক্ষমতায় যাবে_ এটা নিশ্চিত বলেই ধরে নিয়েছেন নেতাকর্মীদের অনেকে। সরকার সংবিধান অনুসারে ক্ষমতায় থেকেই নির্বাচন দেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা সত্ত্বেও বিএনপির অনেক নেতাই মনে করছেন, ক্ষমতাসীনরা এ অবস্থান থেকে সরে আসবেন। তারা মনে করছেন, উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলো ও জাতিসংঘের ‘চাপে’ সরকার শেষ পর্যন্ত নির্দলীয় ব্যবস্থা মেনে নেবে। তবে এত বেশি আশাবাদ উল্টো ফল দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। সতর্ক এই নেতারা বলছেন, বেশি আশাবাদী হওয়ার ফলে আন্দোলন ও নির্বাচনী প্রস্তুতি থেকে পিছিয়ে পড়ছে দল।
কূটনৈতিক তৎপরতা :রাজপথে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলার পরিবর্তে বিএনপি কূটনৈতিক তৎপরতাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে আসছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। প্রভাবশালী উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোর ঢাকার কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগের বিষয়টি গত সাড়ে চার বছরজুড়েই বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি একটু উত্তাপ ছড়ালেই কূটনীতিকদের তৎপর হতে দেখা গেছে। কূটনীতিকদের এই তৎপরতাকে বিএনপির যোগাযোগের ফল বলেই বিশ্লেষকরা মনে করেন। সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিএনপি প্রভাবশালী দেশগুলোর কূটনীতিকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। এ জন্য দলের কয়েকজন নেতাকে খালেদা জিয়া দায়িত্ব দিয়েছেন। সাবেক কূটনীতিক ও অবসরপ্রাপ্ত সচিব এসব নেতা গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয়কে কেন্দ্র করে তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে বিএনপির কূটনৈতিক এ তৎপরতার ফল পক্ষে আসছে কি-না তা নিয়ে দলটির অনেক নেতাই সন্দিহান।
আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি :সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে আসায় নির্দলীয় সরকার দাবির আন্দোলনের সঙ্গে নির্বাচনের প্রস্তুতিও এগিয়ে রাখছে বিএনপি। সরকার হঠাৎ দাবি মেনে নিলে যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে সংকটে পড়তে না হয় সেদিকে নজর রাখছেন খালেদা জিয়া। সাংগঠনিক সফরের জন্য গঠিত ৫৬টি টিমকে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ উদ্দেশ্যেই পাঠানো হয়েছে। এসব টিম নেতারা দলকে তৃণমূল থেকে আন্দোলন ও নির্বাচনের দ্বৈত প্রস্তুতি নেওয়ার কৌশল জানিয়ে দিচ্ছেন। মাঠ পর্যায়ের নেতাদের সর্বাত্মক আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা সেখানে সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থীদের অব্স্থা সম্পর্কে জেনে আসছেন। এই নেতাদের সুপারিশ অনুসারেই খালেদা জিয়া প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন। এ ছাড়া অনেক আসনে আগে থেকেই প্রার্থী চূড়ান্ত করে রেখেছে বিএনপির হাইকমান্ড।
দুর্বল সাংগঠনিক অবস্থা :’নেতৃত্ব’ নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দলে জর্জরিত বিএনপি। দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসন করতে পারছেন না বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বরং কেন্দ্রীয় নেতাদের ইন্ধনেই অনেক জায়গায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে কোন্দল। স্ব-স্ব ‘এজেন্ডা’ বাস্তবায়নে ব্যস্ত নেতারা। কেন্দ্রের পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের নেতৃত্বও কব্জায় রাখতে চান কেন্দ্রীয় অনেক নেতা। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসন করে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে গিয়ে উল্টো বিভিন্ন স্থানে নেতাদের টানাপড়েন প্রকাশ্য সংঘাতে রূপ নিয়েছে। সার্বিক অবস্থা মূল্যায়ন করলে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা মোটেই শক্তিশালী নয়। চারদলীয় জোটকে সম্প্রসারণ করে রাজপথের ‘নতুন মিত্র’ খুঁজলেও নামসর্বস্ব ছোট কয়েকটি দলকে নিয়ে গঠন করেছে ১৮ দলীয় জোট। তাতেও আশাবাদী হতে না পেরে বৃহৎ জোট গঠনে জোটের বাইরে জাতীয় পার্টিসহ ছোট ছোট দলকে কাছে টানার চেষ্টা চলছে।
বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলের পর প্রায় তিন বছরের মাথায়ও বেশ কয়েকটি জেলা ও মহানগরীতে সম্মেলনের মাধ্যমে সম্ভব হচ্ছে না নতুন ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন। এ পরিস্থিতিতে দুর্বল সাংগঠনিক অবস্থায় রাজপথে সরকারবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি দিলেও সেভাবে তা সফল করতে দেখা যাচ্ছে না। অবশ্য দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশে বিরোধপূর্ণ জেলাগুলোতে নতুন ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সংস্কার ইস্যুকে কেন্দ্র করে দলের ভেতর বিভক্তির রেখা মোছা যায়নি এখনও। কিছু সংস্কারপন্থি নেতাকে দলীয় পদ-পদবি দেওয়া হলেও অনেককে বসিয়ে রাখা হয়েছে ‘সাইড লাইনে’। এতে অনেক জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে ‘যোগ্য’ নেতৃত্বের অভাব। তবে নির্বাচনের আগে সংস্কারপন্থি নিষ্ক্রিয় নেতাদের সক্রিয় এবং জনপ্রিয়তা যাচাই করে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
সার্বিক পরিস্থিতিতে বিএনপিকে আগামী দিনগুলোতে অগি্নপরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে বলে মনে করেন দলের নেতা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, সামনের সময় বিএনপির জন্য কুসুমাস্তীর্ণ নয়। অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে দলটিকে। যার সফলতার ওপর নির্ভর করছে বিএনপির অস্তিত্ব।
অবশ্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা সমকালকে বলেন, যে কোনো মূল্যেই বিএনপি নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় করবে। এখন বিএনপির পেছনে যাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তারা সেই শপথই নেবেন। ঈদুল আজহার পর সারাদেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় করবেন তারা।
‘স্পর্শকাতর’ মামলায় বড় নেতারা কারাগারে :বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন বিএনপির কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা। তাদের নিয়েও চিন্তিত বিএনপির নীতিনির্ধারক মহল। তারা হলেন_ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু প্রমুখ।
এসব নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, কিবরিয়া হত্যা মামলা, অবৈধ সম্পদ অর্জন, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন দুর্নীতির মামলা রয়েছে। তাদের জবানবন্দির ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। বিশেষ করে হাওয়া ভবন ও তারেক রহমানকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় অভিযুক্ত করার ক্ষেত্রে ওই নেতাদের জবানবন্দির ওপর নির্ভর করছে ‘অনেক কিছু’।
কর্মসূচি :প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার থেকেই শুরু হয়েছে বিএনপির কর্মসূচি। বিকেল ৩টায় রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খালেদা জিয়া। বিএনপির কেন্দ্র্রীয় নেতা ও বিশিষ্টজনরা সভায় বক্তব্য রাখেন। সভা শেষে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃৃতিক সংস্থা (জাসাস) সাংস্কৃৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এছাড়া রোববার ভোর ৬টায় রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্র্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের কার্যালয়গুলোতে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এর পর সকাল ১০টায় শেরেবাংলানগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও দোয়া মাহফিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র, পোস্টার ও লিফলেট প্রকাশ করা হয়েছে।