প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় সব দলেই ক্ষোভ

সংসদ ও মন্ত্রিসভা বহাল রেখে নির্বাচন করার যে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, তাতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী ১৮ দলীয় জোট তো বটেই, ড. কামালের গণফোরাম, বি. চৌধুরীর বিকল্পধারা, এমনকি ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিও প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা নাকচ করে দিয়েছে। তারা কড়া ভাষায় বলেছেন, দেশে একটি অনিবার্য সংঘাত সৃষ্টির জন্যই প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছাচারিতা করে এ রকম ঘোষণা দিয়েছেন। সংবিধানের বর্তমান পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে জনগণ তা মেনে নেবে না। বহির্বিশ্বেও গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তাঁরা বলেন, এখনো সুযোগ আছে, আগামী ২৬ অক্টোবরের মধ্যে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। আর যদি সমঝোতা না করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্বেচ্ছাচার বাস্তবায়ন করেন, তা ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে। গতকাল মঙ্গলবার এসব দলের নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কালের কণ্ঠের কাছে এভাবেই তাঁরা প্রায় একই সুরে তাঁদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।
বিরোধী জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামী প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। আবার সরকারেও নেই, বিরোধী জোটেও নেই- এমন রাজনৈতিক দল যেমন সিপিবিও প্রধানমন্ত্রীর এই মনোভাবের সমালোচনা করেছে। আর প্রধান বিরোধী দল বিএনপির শীর্ষ নেতারা গতকাল বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যানের কথা বলেছেন।
এদিকে বিএনপির প্রত্যাখ্যানের জবাবে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা সংবিধানের বাইরে নয়। সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে। তাঁরা বলেন, বিএনপি সব বিষয়ে সব সময় নেতিবাচক। গত পাঁচ বছর বিএনপিই দেশে সংঘাতের পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছে, সমঝোতার পথে আসেনি।
গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সচিবদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, সংবিধান অনুসরণ করে সংসদ বহাল রেখেই সরকারের মেয়াদের পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হবে এবং নির্বাচনের সময় বর্তমান সরকার থাকলেও নীতিনির্ধারণী কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না।
বিরোধী ১৮ দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে গতকাল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংসদ বহাল রেখে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সমঝোতার সব পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত ১৮ দলীয় জোট মানছে না, মানছে না, মানছে না। বর্তমান সংসদ বহাল রেখে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনেও যাবে না বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোট। এখন যদি প্রধানমন্ত্রীর শুভবুদ্ধির উদয় হয়, তা হলে সংকটের সমাধান হতে পারে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় থাকার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বৈঠকে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। এই সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না। নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচন এ দেশে হবে না। জনগণ হতে দেবে না। আমরা এখনো আশা করছি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে সংঘাতময় পরিস্থিতি থেকে দেশকে রেহাই দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন তাতে তাঁর ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপি, সংসদ ও মন্ত্রিসভা বহাল রেখে নির্বাচন করবেন তিনি। সম্পূর্ণ একতরফাভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী সংবিধান থেকে একচুলও নড়বেন না। এ জন্যই সরকার ইচ্ছা করেই সংবিধান তাদের মতো করে পরিবর্তন করেছে। এমনভাবে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে, যাতে প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছা করলে সংসদের মেয়াদ শেষে আরো ৯০ দিন সময় নিতে পারবেন। কিন্তু দেশবাসী প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর সব কিছু বুঝে গেছে। একতরফা নির্বাচন হলে দেশবাসী কেন, সারা বিশ্ব মেনে নেবে না। দেশে একটি সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠবে। তাই এখনো সময় আছে, আশা করি দেশের ভালো চেয়ে আগামী ২৬ অক্টোবরের মধ্যে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
গণফোরামের সভাপতি বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড. কামাল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা করেছেন তাতে জাতি হতাশ। জনগণের সরকার গঠন করতে হলে জনমত যাচাইয়ের জন্য জাতীয় সংলাপ প্রয়োজন। সমঝোতার বিকল্প নেই। সংলাপের মাধ্যমে একটি সমঝোতার পথ বেরিয়ে আসবে। জাতি এখনো আশা করছে সমঝোতার মাধ্যমে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, ‘জনগণের দাবির বাইরে আমরা যেতে পারি না। সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত এই দাবিতে আমরা অনড়।’
মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় স্পষ্ট হয়েছে যে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। কারণ বিএনপি চায় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। আর প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় সংসদ ও মন্ত্রিসভা বহাল থাকছে। এই অবস্থায় নির্বাচন হলে বিএনপি অংশ নেবে না। সে ক্ষেত্রে দেশে নির্বাচন অনিশ্চিত। কারণ একতরফা নির্বাচন জনগণ মানবে না। সরকারকে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পরিবর্তন করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
এ অবস্থায় জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো পাতানো নির্বাচনে জাতীয় পার্টি যাবে না। এমনকি ক্ষমতায় যাওয়ার কারো সিঁড়ি হবে না জাপা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় দেশ সংঘাতের দিকে যাচ্ছে। আমরা সংঘাত চাই না। জাতি আশা করেছিল আসন্ন সংসদ অধিবেশনে সরকার বিল এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল করবে। নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি মেনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তা করেননি। কোনো দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা একতরফাভাবে নির্বাচন করার জন্য। বিরোধী দল যাতে নির্বাচনে অংশ না নেয় সেই চিন্তা থেকেই প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা। তিনি বলেন, বিএনপি কোনোভাবেই প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা মেনে নেবে না। ২৬ অক্টোবরের মধ্যে বিরোধী দলের দাবি সরকারের মেনে নেওয়া উচিত, অন্যথায় আন্দোলনের বিকল্প নেই।
সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় জটিলতা নিরসনের বদলে আরো বৃদ্ধি পেল। প্রধানমন্ত্রী জনগণের কাছে আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে ২৪ অক্টোবর সংসদ ভেঙে দেওয়া হবে। কিন্তু সংসদ বহাল রেখে নির্বাচনের ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রতিশ্রুতি থেকে পিছিয়ে যাওয়ায় অনিশ্চয়তার পথ আরো বাড়ল। তিনি আরো বলেন, সমাধান খুবই সহজ। বড় দল হিসেবে দুই পক্ষকেই ছাড় দিতে হবে। আওয়ামী লীগকে নির্দলীয় সরকারের ব্যাপারে সমঝোতায় আসতে হবে। অন্যদিকে বিএনপিকে অবশ্যই জামায়াতে ইসলামীকে ত্যাগ করতে হবে।
জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, সংসদের কার্যকালের মেয়াদ যতই ফুরিয়ে আসছে নির্বাচন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে ততই ধূম্রজাল সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ সরকারের মেয়াদ দীর্ঘায়িত করার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে প্রস্তাব দিয়েছেন এর বাইরে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। তবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রত্যাখ্যানের জবাবে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল বিএনপির মহাসচিব প্রয়াত নেতা আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার অনুসারী ছিলেন। তাই ওনার বেশি বেশি কথা বলতে হয়। এ নিয়ে আমাদের লম্পঝম্প করে কিছু বলার নেই।’
সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বিএনপির প্রত্যাখ্যানের জবাবে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবিধানের কথা বলেছেন। নিয়মের কথা বলেছেন। বিএনপির বোধোদয় না হলে আওয়ামী লীগ তো আর কিছু করতে পারবে না। তারা সব বিষয়ে সব সময় নেতিবাচক। গত পাঁচ বছর বিএনপিই সংঘাতের পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছে, সমঝোতার পথে আসেনি। নির্বাচনী ডামাডোল শুরু হলে তখন তারা ভুল বুঝতে পারবে।
মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের কাছে জানতে চাওয়া হলে কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন তা পুরনো কথা। প্রধানমন্ত্রী আগেও বলেছেন সংবিধানের বাইরে যাবেন না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে।
এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিরোধী দল অংশ না নিলে দেশে সংঘাত অনিবার্য কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আশা করি বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে আসবে। কারণ সংঘাত করার ক্ষমতা বিরোধী দলের নেই।
১৮ দলীয় জোটের মহাসচিবদের বৈঠক : গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৮ দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠক শেষে তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, সংসদ বহাল রেখে আরেকটি সংসদ নির্বাচনের বিধান বিশ্বের কোনো দেশেই নেই। অথচ সরকারপ্রধান বারবার বলে যাচ্ছেন, বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো বাংলাদেশেও নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, ‘নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচনে আমরা অংশ নেব না। জনগণও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন মেনে নেবে না।’ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে জনগণ হতাশ ও দুশ্চিন্তায় পড়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এতদিন মন্ত্রীরা বলেছেন, এখনো সমঝোতার সুযোগ আছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সেই সুযোগের অবসান ঘটল। তারা একতরফাভাবে নির্বাচন করে কার্যত বাকশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মানতে জোরদার আন্দোলনের ঘোষণাও দেন মির্জা ফখরুল। আন্দোলনের কৌশল কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে। তা যথাসময়ে আপনাদের জানানো হবে।’
জানা যায়, বৈঠকে চলতি মাসে খালেদা জিয়ার নরসিংদী, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেটে জনসভার প্রস্তুতি এবং আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হয়। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাসকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ করেছেন জোটভুক্ত দলগুলোর মহাসচিবরা। মির্জা ফখরুল বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মুফতি ওয়াক্কাস এ দেশের একজন বিজ্ঞ রাজনীতিক, ইসলামী স্কলার। তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মহাসচিবদের বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর রেদোয়ান উল্লাহ সাহেদী, খেলাফত মজলিসের আহমেদ আবদুল কাদের, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, বিজেপির খন্দকার সিরাজুল ইসলাম, এনডিপির আলমগীর মজুমদার, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, লেবার পার্টির হামদুল্লাহ আল মেহেদি, মুসলিম লীগের আতিকুল ইসলাম, জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির আবদুল মালেক চৌধুরী, ইসলামিক পার্টির আবদুর রশীদ প্রধান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, ন্যাপ ভাসানীর হাসনাত খান ভাসানী, ডেমোক্রেটিক লীগের খোকন চন্দ্র দাশ, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি মুহাম্মদ তৈয়ব, জমিয়তে উলামা ইসলামের মুফতি রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।