তত্ত্বাবধায়ক দেবে, নইলে বিদায়

নরসিংদীর জনসভায় সরকারের প্রতি খালেদা জিয়ার হুঁশিয়ারি। লাগাতার হরতাল অবরোধের হুমকি

রেজা মাহমুদ/প্রীতি রঞ্জন সাহা নরসিংদী থেকে
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি না মানলে লাগাতার হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া। সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেছেন, এবার লাগাতার কর্মসূচি দিয়ে এমন অবস্থা সৃষ্টি করব, হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেবে, না হয় হাসিনা বিদায় নেবে। তিনি আরও বলেন, আজীবন ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলুপ্ত করেছেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, আমরা সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, নির্দলীয় কিংবা নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচনে আমাদের জোট যাবে না। একদলীয় নির্বাচনও হতে দেওয়া হবে না। সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রী সংলাপের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, আলোচনার প্রস্তাব পেলে তাতে সাড়া দেবেন তারা। গতকাল রোববার বিকেলে নরসিংদী শহরের বালুর মাঠে (প্রস্তাবিত বাসাইল পৌর শিশুপার্ক) জেলা ১৮ দলের এক বিশাল জনসভায় খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। প্রায় ২১ বছর পর নরসিংদীতে খালেদা জিয়ার এ সফরের মধ্য দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আট জেলায় বিরোধীদলীয় নেতার গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু হলো। অবশ্য ভোটের সম্ভাব্য সময়ের চার মাস বাকি থাকতে এ কর্মসূচিকে বিরোধীদলীয়
নেতার ‘প্রাক-নির্বাচনী

প্রস্তুতি’ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। ঈদুল আজহার পর চট্টগ্রাম ও ঢাকায় মহাসমাবেশ করবেন তিনি। আগামী দিনে
ক্ষমতায় গেলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট ‘নতুন ধারার’ সরকার গঠন করবে জানিয়ে সবাইকে জাতীয়তাবাদী
শক্তির পেছনে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানান বিরোধীদলীয় নেতা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে বালুর মাঠে জড়ো হওয়া হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, আগামীতে আমরা নতুন ধারার সরকার গঠন করব। এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের মতো প্রতিহিংসার রাজনীতি করবে না। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে। দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করবে। তিনি বলেন, পার্লামেন্ট বাতিল করতে হবে। সংসদে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস করতে হবে। নির্দলীয় কিংবা নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচনে আমাদের জোট যাবে না। একদলীয় নির্বাচনও হতে দেওয়া হবে না।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন না দিলে লাগাতার হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি বলেন, ‘আপনারা হয় নির্দলীয় সরকারের দাবি মানবেন, না হয় পালানোর পথ খুঁজবেন। এখন আপনারাই চিন্তা করে দেখুন।’
এ সংকট থেকে উত্তরণে সংলাপের পথ প্রধানমন্ত্রী ‘নিজেই বন্ধ করে দিয়েছেন’ বলেও মন্তব্য করেন বিরোধীদলীয় নেতা। জনসভায় বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ‘মাথা খারাপ’ হয়ে গেছে। সুপ্রিম কোর্ট তাকে বলেছিলেন, রং হেডেড। তার চিকিৎসা প্রয়োজন, সুস্থতা প্রয়োজন। এখন এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে জনগণের কাছে। প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের দোহাই দিয়ে আলোচনার পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। আমরা সব সময় আলোচনা চাই। সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব এলে আমরা তাতে সাড়া দেব।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে আজ্ঞাবহ ও অসহায় বলে মন্তব্য করেন বিএনপি নেত্রী। ইসির কঠোর সমালোচনা করে তারা কেন পদত্যাগ করছেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন একটি মেরুদণ্ডহীন, অপদার্থ কমিশন। এ কমিশন জি-হুজুর জি-হুজুর করে। তাদের নিজের কোনো সাহস নেই। তারা বলে, আমরা অসহায়। অসহায় হলে তারা কেন পদত্যাগ করে না। এ রকম মেরুদণ্ডহীন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, এ সরকারের আমলে ২৩ হাজার মানুষকে খুন করা হয়েছে। পুঁজিবাজার, হলমার্ক, ডেসনিটিসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে অর্থ লুটপাট করা হয়েছে। আমি শুনেছি, এ সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা কানাডা, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বাড়ি কিনে রেখেছেন। সময় বুঝে তারা পালিয়ে যাবেন।
সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় পৌর মেয়র লোকমান হোসেন হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে খালেদা জিয়া বলেন, এত দিনেও লোকমান হত্যার বিচার হয়নি। আসল খুনিকে এখনও ধরা হয়নি। উল্টো আমাদের দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি জানান, বিএনপি ক্ষমতায় এলে লোকমান হত্যার বিচার করে প্রকৃত খুনিদের শাস্তির ব্যবস্থা করবে।
নরসিংদী জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকনের সভাপতিত্বে সমাবেশে জোট নেতাদের মধ্যে এলডিপি সভাপতি অলি আহমদ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান, খেলাফত মজলিসের চেয়ারম্যান মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য এম শামসুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আ স ম হান্নান শাহ, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, জনসভা প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান, কেন্দ্রীয় নেতা ওসমান ফারুক, শামসুজ্জামান দুদু, আমানউল্লাহ আমান, ফজলুল হক মিলন, সানাউল্লাহ মিয়া, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নূরে আরা সাফা, শিরীন সুলতানা, মীর সরফত আলী সপু, ছাত্রদল সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব প্রমুখ নেতা বক্তব্য রাখেন। স্থানীয় নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জামাল আহমেদ চৌধুরী, কর্নেল (অব.) জয়নাল আবেদীন, সুলতান উদ্দিন মোল্লা, মঞ্জুর এলাহী, দীন মোহাম্মদ দীপু, রোকেয়া আহমেদ লাকী, জামায়াতের মাওলানা অধ্যাপক শেখ মালেক, আবদুস সাত্তার, মোবারক হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন ও জেলা সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার।
দীর্ঘ ২০ বছর পর খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ‘মুক্ত অঞ্চল’ হিসেবে চিহ্নিত এ জেলায় জনসভা করছেন বলে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে নানা বয়সের নারী-পুরুষের উপস্থিতি, নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের পক্ষে কর্মী-সমর্থকদের স্লোগান, ব্যান্ডসঙ্গীত দলের উপস্থিতি জনসভাটি ভিন্ন রূপ নেয়।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দীর্ঘ ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নানা রঙের ডিজিটাল ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। এ পথে নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজের ছবি দিয়ে নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নির্মাণ করেছেন অসংখ্য তোরণ। অসংখ্য ব্যানার-ফেস্টুনের মধ্যে দলের সাবেক মহাসচিব প্রয়াত আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার হাস্যোজ্জ্বল প্রতিকৃতিসংবলিত ব্যানার সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
ঢাকা থেকে নরসিংদী পর্যন্ত পুরো সড়কের পথে পথে বিভিন্ন স্থানে খালেদা জিয়ার ছবির পাশাপাশি দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতিকৃতি টানানো হয়। জনসভা উপলক্ষে মঞ্চ ও মাঠের চারপাশে পুলিশ-র‌্যাবের নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল।
খালেদা জিয়ার এ জনসভাকে ঘিরে নরসিংদীজুড়ে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়। নরসিংদীর সব উপজেলা ও আশপাশের জেলাগুলো থেকে বিভিন্ন যানবাহনে লোকজন বালুর মাঠে এসে জড়ো হয়। সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা জনসভাস্থলের দিকে আসতে থাকে। দুপুর ১২টা নাগাদ পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত নেতাকর্মীদের পদচারণায় নরসিংদী মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সভায় কয়েক লাখ লোকের সমাগম ঘটে। জনসভায় পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গাজীপুরের নেতাকর্মীরা শামিল হন।
দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর গুলশানের কার্যালয় থেকে নরসিংদীর পথে রওনা হন খালেদা জিয়া। রাজধানীর নয়াপল্টন, যাত্রাবাড়ী, নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর সেতু, সোনারগাঁ মোড়, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, ভুলতা, নরসিংদীর মাধদীসহ বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীরা রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে বিরোধীদলীয় নেতাকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। বিকেল পৌনে ৫টায় হাজার হাজার মানুষের ভিড় ডিঙিয়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর নরসিংদী বালুর মাঠে পেঁৗছালে নেতাকর্মীরা করতালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানান।
জনসভায় খালেদা জিয়া বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে বহাল রেখে জনগণের কাছে কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। এ ধরনের নির্বাচন আমরা মানি না। তিনি বলেন, ‘সরকারকে বলব, এখনও সময় আছে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। এর আগে সংসদে নির্দলীয় সরকারের বিল নিয়ে এনে তা পাস করুন। নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করুন।’
জনসভায় খালেদা জিয়া বেশ কিছু নির্বাচনী প্রতিশ্র্রুতিও দেন। তিনি বলেন, আমরা দুর্নীতিকে শত্রু বলে মনে করি। এর বিরুদ্ধে আমরা কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা ক্ষমতায় গেলে মন্ত্রী-এমপিকে সম্পদের হিসাব দিতে হবে। তাদের জবাবদিহি করতে হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে দুটি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। বিরোধীদলীয় নেতা অভিযোগ করে বলেন, এ সরকারের আমলে ৫০০ গার্মেন্ট কারখানা বন্ধ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সাভারের রানা প্লাজার মালিককে এখন কারাগারে জামাই আদরে রাখা হয়েছে। তার নেতা মুরাদ জংকে এখনও ধরা হয়নি। লোকজন বলে, ওই রানা প্লাজায় মাদক ব্যবসা চলত।’
খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোট দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। কেবল আমরাই নই, দেশের ৯০ ভাগ মানুষ নির্দলীয় সরকারের পক্ষে। বিকল্পধারা, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর দল, ড. কামাল হোসেন সবাই বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। এর পরও সরকার যদি একদলীয় নির্বাচন করে, তা হবে বাকশাল। এটা জনগণ মানবে না।
প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় না থাকলে প্রশাসন, পুলিশ-র‌্যাবকে ব্যবহার করতে পারবেন না বলেই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে ভয় পান বলে মন্তব্য করেন বিরোধীদলীয় নেতা। তিনি বলেন, সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করে নির্বাচন চাই। খেলার মাঠ উঁচু-নিচু হলে চলবে না, সমান হতে হবে। সমান সুযোগ সৃষ্টি করে নির্বাচন দিন। সরকার যদি দেশের উন্নয়ন করে থাকে, তাহলে তাদের জনগণ ভোট দেবে। আর তা না করলে তাদের ভোট দেবে না।
হেফাজতে ইসলামের ওপর গত ৫ মের পুলিশি অভিযান, আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, অধিকার সম্পাদক আদিলুর রহমান খান শুভ্র গ্রেফতার এবং ইসলামিক টিভি ও দিগন্ত টিভির সম্প্রচার বন্ধের কঠোর সমালোচনা করেন খালেদা জিয়া।
জামায়াতের শোডাউন :যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি চেয়ে খালেদা জিয়ার জনসভায় ডিজিটাল ব্যানার টানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির।
শনিবার জেলার বালুর মাঠের দু’পাশে যুদ্ধাপরাধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অধ্যাপক গোলাম আযম, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছবিসংবলিত ব্যানারে তাদের মুক্তি দাবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অপরাধে মামলায় অভিযুক্ত দলটির আমির মতিউর রহমান নিজামীর ছবি রয়েছে। তারও মুক্তি দাবি করা হয়েছে।
মাঠের দু’পাশে এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধাপরাধ আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল বাতিল কর, জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল বেআইনি ইত্যাদি নানা স্লোগানসংবলিত ডিজিটাল ব্যানার টানানো হয়। জনসভার মঞ্চে সামনের দিকে পূর্ব পাশে জামায়াত ও শিবিরের ব্যাপক নেতাকর্মীর উপস্থিতি দেখা গেছে।