ইউনূসের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে সরকার

অবৈধ আয় ও কর ফাঁকির অভিযোগে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তোলার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার এ সিদ্ধান্ত এসেছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদের সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের জানান, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে এনবিআর-সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে এনবিআর। আর ব্যাংকিং-সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে ব্যাংকিং বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ব্যাপারে কোনো বিষয়ে মতামতের প্রয়োজন হলে আইন মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নেওয়া হবে। তবে ইউনূস সেন্টার থেকে সব ধরনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

আয়কর আইনে কেউ কর ফাঁকি দিলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সর্বময় ক্ষমতা এনবিআরকেই দেওয়া হয়েছে। আইনের ৯৩ ধারা অনুযায়ী, একজন ডেপুটি কমিশনারই এ বিষয়ে নোটিশ দিতে পারেন। অথচ ড. ইউনূসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিল মন্ত্রিসভা। এ ঘটনা নজিরবিহীন বলে এনবিআরের কর্মকর্তারাই মনে করেন। এনবিআরের একাধিক সাবেক চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেও একই মতামত পাওয়া গেছে।

এনবিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আয়কর আইনে বিশেষ আয়করদাতা বলে কিছু নেই। প্রত্যেক আয়করদাতা সমান। অথচ একজন আয়করদাতাকে নিয়ে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হলে তা খারাপ নজির তৈরি করে। তিনি আরও বলেন, এটি হচ্ছে আইনের ব্যাখ্যার বিষয়। এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, একজন ব্যক্তির জন্য নতুন করে আইনের যে ব্যাখ্যা দেওয়া হলো, ভবিষ্যতে আরও অনেকের জন্য একই ব্যাখ্যা প্রযোজ্য হবে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, এর আগে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকির অভিযোগে মামলা করা হয়েছিল। এ জন্য কাজ করেছিল একটি টাস্কফোর্স। তবে সে সময় এনবিআরের বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে মামলা করা হয়েছিল। যদিও সেই মামলার একটিও পরবর্তী সময়ে টেকেনি।

গতকাল রাতে যোগাযোগ করা হলে বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, যেকোনো কারদাতার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আগে প্রথমবার কারণ দর্শাও নোটিশ জারি করতে পারে এনবিআর। তারপর সেই করদাতার বক্তব্য শুনে পরবর্তী যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু ড. ইউনূসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। তাঁর মতে, এটা সংবিধান পরিপন্থী। আইনের শাসনের ন্যূনতম যে অধিকার পাওয়ার কথা, তা থেকে ড. ইউনূসকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

যত অভিযোগ: সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ২০০৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ১৩৩টি বৈদেশিক প্রতিষ্ঠান থেকে সম্মানী, ১০টি প্রতিষ্ঠান থেকে পুরস্কার এবং ১৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে রয়্যালটি বাবদ ৫০ কোটি ৬১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৮৮ টাকা আয় এবং এর বিপরীতে ১২ কোটি ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ৩৯৭ টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ এনেছে এনবিআর। এ ছাড়া বিধি লঙ্ঘন করে ড. ইউনূস তাঁর পারিবারিক প্রতিষ্ঠানকে স্বল্প সুদে ঋণ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে চুক্তিবহির্ভূত সময়ে দায়িত্ব পালন করে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ড. ইউনূস বেতনের বাইরেও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন, যা বেআইনি। ইউনূস তাঁর আয়কর রিটার্নেও সঠিকভাবে তথ্য দেননি বলে এনবিআরের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের আরও জানানো হয়, সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী ড. ইউনূস একজন সরকারি কর্মকর্তা। একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়ার আবশ্যকতা ছিল। এর ফলে বিদেশে যাওয়ার পর উপার্জিত অর্থ ও উপার্জিত অর্থের ওপর করমুক্ত সুবিধা নেওয়া এবং আয়কর অব্যাহতি নেওয়া বিধিসম্মত হয়নি। এ ছাড়া গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশে গ্রামীণ ব্যাংককে আয়করমুক্তি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে এ সুবিধা দেওয়া হয়নি। ড. ইউনূস তাঁর পরিচালনাধীন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের আয়কর অব্যাহতি নিয়েছেন। সবশেষে বলা হয়, ড. ইউনূস তাঁর আয়কর রিটার্নে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করেননি। তাঁকে যেসব শর্তে আয়কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল, ওই সব শর্ত ভঙ্গ করেছেন। যাঁরা এ রিটার্ন তৈরি করেছেন তাঁরা এবং প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে ড. ইউনূস দায় এড়াতে পারেন না।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, ড. ইউনূসের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে কয়েকটি বিষয় পাওয়া গেছে, যা এনবিআর-সংশ্লিষ্ট নয়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে গ্রামীণ কল্যাণে এবং গ্রামীণ কল্যাণ থেকে গ্রামীণ ব্যাংকে টাকা হস্তান্তর করেছেন, যা বিধিসম্মত নয়। তা ছাড়া চুক্তিভিত্তিক চাকরির শর্ত অনুযায়ী কেউ যদি চুক্তির অতিরিক্ত সময় পদে থাকেন, তাহলে চুক্তি অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাবেন। অন্যান্য সুবিধা পাবেন না। কিন্তু ড. ইউনূস অন্যান্য সুবিধাও নিয়েছেন। আবার অধ্যাপক ইউনূস তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে পারিবারিক ঋণসুবিধা নিয়েছেন। তাই ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে বলেও এনবিআরের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে। তাঁকে যাঁরা এ সুবিধা দিয়েছেন, তাঁরা দায়ী বলে জানান মন্ত্রিপরিষদের সচিব। তবে প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে ড. ইউনূস দায় এড়াতে পারেন না।

২০১২ সালের ২ আগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠকে ড. ইউনূস বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য এনবিআরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর আগে এ-সংক্রান্ত আরেকটি প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জন্য তৈরি করেছিল এনবিআর। সেই প্রতিবেদনে ড. ইউনূসের প্রবাসী-আয় করমুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়। অনানুষ্ঠানিকভাবে সেই প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে জানানো হয়েছিল। পরে তা পরিবর্তন করে নতুন এ প্রতিবেদন পাঠানো হয়।

জানা গেছে, মন্ত্রিসভায় উপস্থাপিত সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, ১০ বছর আইনবহির্ভূতভাবে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে থাকার ফলে ড. ইউনূস বেতন-ভাতা, অন্যান্য সুবিধাসহ মোট ৫২ লাখ ৯৩ হাজার ৭০৪ টাকা এবং অন্যান্য ভাতা হিসেবে ৩৮ লাখ ৮১ হাজার টাকা নিয়েছেন। সার্বক্ষণিকভাবে ব্যবহূত একটি গাড়ির যাবতীয় খরচ ব্যাংক বহন করেছে। তবে তিনি জ্বালানি বাবদ ২০০ টাকা ব্যাংকে পরিশোধ করেছেন এবং বাসার গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল নিজে পরিশোধ করেছেন।

এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় এনবিআরের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, দু-এক দিনের মধ্যে করসংক্রান্ত কী ধরনের অনিয়ম হয়েছে, তা চিহ্নিত করবে এনবিআর। এরপর এ অনিয়মের জন্য গ্রামীণ ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। সন্তোষজনক জবাব না পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, করসংক্রান্ত অনিয়ম হয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকে, তাই এ প্রতিষ্ঠানের কাছেই ব্যাখ্যা চাওয়া হবে, ড. ইউনূসের কাছে নয়।

গতকাল অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিত সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৮৩ থেকে ২০১০ সময়কালে গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনার জন্য কোনো দিনই সরকারের কোনো অনুমতি নেননি ড. ইউনূস। এ জন্য অবশ্য সরকারেরও দোষ আছে। সরকার বিষয়টির কখনোই কোনো তদারক করেনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের সহযোগী অন্তত ১৩টি প্রতিষ্ঠান শুধুই গ্রামীণের নয়। এগুলোতে সরকারের প্রতিনিধি রয়েছেন। তাঁরাও কখনো লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করেননি। ড. ইউনূসকে এমনকি কেউ কোনো দিন জিজ্ঞাসাও করেননি।

ইউনূস সেন্টারের প্রতিক্রিয়া: গতকাল রাতে এসব বিষয়ে ইউনূস সেন্টার থেকে পাঠানো প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, মুহাম্মদ ইউনূস আয়কর ফাঁকি দিয়েছেন—এমন কথা এনবিআর বলেনি। এনবিআর বলেছে, তিনি আয়কর অব্যাহতি চেয়েছেন এবং আইন অনুসারে সেই আয়কর অব্যাহতি দিয়েছে এনবিআর। এখানে আইনের কোনো বরখেলাপ হয়নি।

এতে আরও বলা হয়েছে, অধ্যাপক ইউনূস সব সময় তাঁর বৈদেশিক আয় ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে নিয়ম অনুযায়ী এনেছেন এবং প্রতিবছর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় সব আয় প্রদর্শন ও ধার্যকৃত কর পরিশোধ করেছেন। যাঁরা কর ধার্য করেন, তাঁদেরই দায়িত্ব কোনটি আয়করমুক্ত এবং কোনটির কর দিতে হবে, তা নির্ধারণ করা। কর কর্তৃপক্ষ কোনো দিন এ ব্যাপারে কখনোই প্রশ্ন করেনি।

সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে পূর্বানুমতির বিষয়ে ইউনূস সেন্টার বলেছে, সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছেন যে অধ্যাপক ইউনূস একজন ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’। রায়ে বলা হয়েছে, ২০০০ সাল থেকে পরবর্তী ১১ বছর তিনি আইনবহির্ভূতভাবে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদে বহাল ছিলেন। ইউনূস সেন্টার বলেছে, যদি সরকারি কর্মচারী না থাকেন, তবে ২০০০ সালের পরে অধ্যাপক ইউনূসের বিদেশি আয় গ্রহণ ইত্যাদি ব্যাপারে আর সরকারের অনুমোদন নেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। একজন নাগরিকের জন্য যে আইন প্রযোজ্য, সে আইনই তাঁর ওপর প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ, এনবিআর যে অভিযোগ করছে, সে অভিযোগের কোনো ভিত্তি আর থাকে না।

প্রতিক্রিয়ায় আরও বলা হয়েছে, গ্রামীণ ব্যাংক একটি বিশেষ আইনসৃষ্ট প্রতিষ্ঠান। এ আইনে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদই ব্যাংকের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। অধ্যাপক ইউনূস যা কিছু করেছেন, এ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ও সম্মতি অনুসারে করেছেন। তিনি আইন ভঙ্গ করে কোনো কাজ করেননি।

ইউনূস প্রসঙ্গে মন্ত্রিসভায় আলোচনা: গতকালের বৈঠকে ড. ইউনূসকে নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা অনির্ধারিত আলোচনা হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা অংশ নেন।

এনবিআরের প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির কথা উল্লেখ করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে সরকারের যে দ্বন্দ্ব, সে জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দায়ী করার কথাও বাইরে শোনা যায়। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, তাঁর স্বামী তৌফিক নেওয়াজ ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে কাজ করতেন। একটি অধ্যাদেশের দুর্বলতা নিয়ে ড. ইউনূসের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁদের মধ্যে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল।

অর্থমন্ত্রী এম এ মুহিত বলেন, ড. ইউনূস হচ্ছেন ‘ইকোনমিক উইজার্ড’, যিনি তাঁর সব অনিয়ম ও অন্যায় কোনো না কোনোভাবে বিভিন্ন সরকারের সময় বিভিন্ন গোষ্ঠীর মাধ্যমে আইনগতভাবে সিদ্ধ করে নেন। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপে কোনো না কোনো উদ্দেশ্য থাকে বলেও মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী ড. ইউনূস ৬০ বছরের পরে যে বেতন-ভাতা নিয়েছেন, তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলতে মন্ত্রিসভার সদস্যদের বারণ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সময়ে তিনি কাজ করেছেন, বেতন তুলেছেন—এ নিয়ে বেশি কথা বলার দরকার নেই। তিনি বলেন, যা কিছু হবে, আইনের ভিত্তিতে হবে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নরওয়ের গণমাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংকের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরই আমরা খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছি। বিষয়টিকে ব্যক্তিগতভাবে নিইনি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই আমাদের কাছ থেকে তিনি সর্বাধিক সুবিধা নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের লোকেরাও তাঁর পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন।’